নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সমাবেশের আগের রাতে নারায়ণগঞ্জে দলটির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপির।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এই অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এসব নেতাকর্মীদের আটক করেছে বলে জানান তিনি।
আটকরা হলেন- সোনারগাঁও জামপুর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিল্টন মিয়া, সোনারগাঁও সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন সিকদার, রূপগঞ্জের মুড়াপারা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেন ও সহসভাপতি সামসুল ইসলাম, রূপগঞ্জ চনপাড়া ৮নং ওয়ার্ডের যুবদল কর্মী নুর হোসেন, সোনারগাঁও জামপুর ইউনিয়ন জাসাসের সহ সভাপতি কে না পেয়ে তার বড় ভাই আফাজউদ্দিন, সোনারগাঁও সাদীপুর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী মো. আরিফ, সোনারগাঁও জামপুর ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মিল্টন, বন্দর থানাধীন মদনপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি আসলাম আহমেদ, নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কাজী গোলাম কাদের, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের সভাপতি গাজী সেলিম, কাঞ্চন পৌর যুবদল দুই নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোহাম্মদ আজিম মিয়া, ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোগল মিয়া, রূপগঞ্জের কায়তেপাড়া ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মো. নিবিড়, ছাত্রদল নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌর ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোগল মিয়া, ফতুল্লা সদর ইউনিয়ন বিএনপির বিপ্লবী সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, মইনুল হোসেন রতন সভাপতি কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি, আশিক মাহমুদ সুমন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি, রিপন মুন্সি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১ নং ওয়ার্ড কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি।
খোকন জানান, গত কয়েক ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রাতে আমাদের ৩৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। এর আগের কয়েকদিনে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে ঘিরে আমাদের আরও ২৭ নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সমাবেশকে দমাতে চায়। নেতাকর্মীদের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে দিতে চায়। তবে এর কোনো কিছুই জনস্রোত আটকাতে পারবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের শীর্ষ কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এমআরপি/এসএএইচ