ঢাকা, বুধবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

হরতালে স্বাভাবিক সচিবালয়, নিরাপত্তা জোরদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
হরতালে স্বাভাবিক সচিবালয়, নিরাপত্তা জোরদার ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি সচিবালয়ের কাজকর্মে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে প্রশাসনের এ কেন্দ্রবিন্দুতে।

অবশ্য সচিবালয়ে গাড়ি ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু ‍মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা গেছে।

সচিবালয় ঘুরে দেখা যায়, অনেক মন্ত্রীও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। তারা কর্মকর্তাদের কাছে হরতালের খোঁজখবর নেন।  

সচিবালয়ের সামনে আবদুল গণি রোডে গাড়ি চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়নি। যদিও সচিবালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রবেশের চারটি গেইটের মধ্যে তিনটি গেইট বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিটি গেইটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন দেখা গেছে। তবে সচিবালয়ের সামনের রোডগুলো একেবারেই ফাঁকা দেখা যায়।  

এদিকে হরতাল চলায় সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এজন্য এক ও দুই নম্বর গেটের মাঝামাঝি দর্শনার্থী অপেক্ষাকক্ষ প্রায় শূন্য দেখা গেছে। সচিবালয়ের লিফটগুলোর সামনেও ভিড় দেখা যায়নি। তবে সচিবালয়ে গাড়ির সংখ্যা সকালে তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে।

এ বিষয়ে সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য বলেন, অনান্য দিনের মতো আজ সকাল থেকেই আমরা তৎপর রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে রাত থেকে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুনের ঘটনার পর আমরা এখানে আগের চেয়ে আরও বেশি তৎপর রয়েছি।  

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, রোববার হরতাল হলেও রাস্তায় যান চলাচল করছে। অবশ্য অন্য দিনের তুলনায় কম দেখা গেছে। মন্ত্রণালয়ের প্রায় সবাই সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়াই অফিসে আসতে পেরেছি।  

সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, হরতালকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সচিবালয়ে কর্মীদের আসা শুরু হয়। অনেকেই নির্ধারিত সময়ের আগেই এসে কার্যালয়ে উপস্থিত হন।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। তবে সমাবেশে নেতারা বক্তব্য দেওয়ার আগে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। তখন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে বিজয়নগর মোড়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতা-কর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। বিকেল ৩টার দিকে নয়াপল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, পুরানা পল্টন এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। তারপর রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

এই সহিংসতার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে দোষারোপ করে তার প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।