ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাইবান্ধায় রাজপথে অটোরিকশা-ইজিবাইকের রাজত্ব

মোমেনুর রশিদ সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
গাইবান্ধায় রাজপথে অটোরিকশা-ইজিবাইকের রাজত্ব

গাইবান্ধা: অবরোধ ডেকে মাঠে না থাকলেও বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চলতি অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও গাইবান্ধায় আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

ফলে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে ছিল সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের দখলে।

 

এতে ভোগান্তি থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষগুলোর।

পাশাপাশি লেগুনা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান ছাড়াও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। এসব যানবাহনে দূরপাল্লার গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়েছেন যাত্রীরা।

এর মধ্যে মূলত: দ্রুতগতির অটোরিকশা সহায় ছিল মাঝারি এবং দূরপাল্লার যাত্রীদের। পাশাপাশি লেগুনাসহ অ্যাম্বুলেন্সে চলাচল করতে দেখা গেছে অসহায় মানুষদের। তবে এতে অতিরিক্ত সময়-টাকা গুণতে হয়েছে তাদের।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দিনভর পলাশবাড়ী চৌমাথা মোড়ে ছোট যানবাহন অটোরিকশা ও লেগুনা চালকদের দূরপাল্লার রংপুর-বগুড়া-গাইবান্ধা বলে ডাকহাক-যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।

পলাশবাড়ী পৌর শহরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান জানান, অবরোধে প্রতিদিন গাইবান্ধা কোর্টে যাতায়াতে অটোরিকশাই বর্তমানে সম্বল। আকারের তুলনায় গতি আশানুরূপ হওয়ায় সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব হচ্ছে।

বিকেলে চৌমাথা মোড়ে কথা হয়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম ও তৌয়ব আলীর সঙ্গে। তারা বগুড়ায় যাচ্ছেন ধান কাটতে।  

তারা জানান, এলাকায় ধানকাটা কৃষকের দৈনিক মজুরি ৫শ টাকা। কিন্তু বগুড়া এলাকায় ৭ থেকে ৮ টাকা। তাই বেশি মজুরির আশায় তাদের একটি দল যাচ্ছেন শ্রম বেচতে। পথে তাদের সাথী অটোরিকশা। এতে ভেঙে-ভেঙে তারা গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের সাবদিন গ্রামের অটোরিকশা চালক উজ্জ্বল মিয়া জানান, বাস না চলায় চৌমাথা মোড় থেকে প্রায় অর্ধশত অটোরিকশা বগুড়া-রংপুর যাত্রী পরিবহন করছে।  

পলাশবাড়ী পৌর শহরের জুনদহ এলাকার ইজিবাইক চালক সেকেন্দার আলী জানান, উপজেলার অন্তত এক হাজার ইজিবাইক রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কে চলাচল করছে।

এদিকে, চলতি অবরোধের দ্বিতীয় দিনেরও সড়ক-মহাসড়কের কোথাও অবরোধ আহ্বানকারীদের পিকেটিংসহ কোনো তৎপরতা ছিল না।

অন্যদিকে, অবরোধে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা সজাগ রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।