ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৮ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ায় এডিসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
৮ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ায় এডিসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর: উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ৮টি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-রাজস্ব) সাজিয়া পারভিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ভেঙে ফেলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনেই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

 

এতে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রাকিবুল আহসান, তার মা শাহেনা আক্তার, বোন জান্নাতুন নাইম, দোকানের কর্মচারী আবদুল মান্নান ও লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তফছির আহম্মদসহ কয়েকজন।  

ব্যানারে এডিসি সাজিয়া পারভীনের নাম উল্লেখ থাকলেও মানববন্ধনের লিখিত বক্তব্য থেকে তার নাম কেটে দেয় ভুক্তভোগী পরিবার।

জানা গেছে, বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পূর্ব পাশে থাকা ৮ টি দোকানঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া পারভিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হয়।  

তবে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো গুড়িয়ে দিয়েছেন এডিসি সাজিয়া পারভীন।  

মানববন্ধনে পরিবারের সদস্য রাকিবুল আহসান জানায়, ঘটনাস্থলে সমসেরাবাদ মৌজায় ১০৭৫ ও ১৭৫১ নং খতিয়ানে ৩৭ দাগে তার বাবা মাহফুজুর রহমান ৭ শতাংশ জমির মালিক হন। ওই জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। কয়েকটি দোকান ভাড়ায় ছিল। ২০২২ সালে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য জমির একাংশ (মার্কেটের সামনের অংশ) সড়ক বিভাগ অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহণকৃত জমিতে ড্রেনের কাজও চলমান রয়েছে। আর বাকি জমিতে নতুন করে ৮টি দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু সড়ক বিভাগ তাদের কাছ থেকে বাকি জমিও দাবি করে। এনিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেন। উচ্চ আদালত থেকে জেলা প্রশাসকের বেআইনি অপতৎপরতা কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না বলে একটি রুল জারি করা হয়। এ আদেশটি প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি আইনগতভাবে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।  

রাকিবুল আহসান আরও বলেন, জমি অধিগ্রহণ করায় আমাদের দোকানগুলোর সামনের অংশ ভাঙতে হয়। পরে বাকি জমিতে ফের দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন জেলা প্রশাসন থেকে একটি চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এতে আমরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করি। এনিয়ে উচ্চ আদালত একটি আদেশ দিয়েছিল। ওই আদেশ অমান্য করে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা তফছির আহম্মদ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সড়ক বিভাগ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মামার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া পারভিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তারা অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়ায় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।  

লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার দুপুরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।