ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রমিকনেতা বাবুলের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
শ্রমিকনেতা বাবুলের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা: বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ গ্রেপ্তার সকল শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। একই সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের এক জীবনের সমান ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানার সভাপ্রধান জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা হযরত বিল্লাল, রানা প্লাজার শ্রমিক রুপালী আক্তার, মামুন হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা।

সমাবেশে তাসলিমা আখতার বলেন, গত ১ বছর ধরে ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে আমরা আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমরা দেখলাম সরকার ও মালিকপক্ষ সলাপরামর্শ করে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি ঘোষণা করেছে। এ মজুরি শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামলে শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার এমনকি শ্রমিক হত্যার মতো কাজ জারি রেখেছে তারা। আমরা গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি ও মজুরি বৃদ্ধিতে শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে যখন মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছি তখন মালিকপক্ষ অস্থির হয়ে গেছে। শ্রমিকরা গাড়ি ভাঙচুর করে, শ্রমিকরা আগুন জ্বালায়—এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আশুলিয়া, কোনাবাড়ি, গাজীপুর, ময়মনসিংহের সমস্ত শ্রমিক অঞ্চলে দমন-পীড়ন শুরু করেছে। এরই সর্বশেষ নজির আমরা দেখলাম গার্মেরন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদ বাবুল হোসনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। শ্রমিক অঞ্চলগুলোতে ভয় ছড়ানোর জন্য তারা এমন করছে।

তিনি আরও বলেন, আঞ্জুয়ারা, রাসেল, ইমরানকে গুলে করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ কী? আমাদের অপরাধ কী? আমরা শ্রমিকদের খেয়ে-পরে বাঁচার স্বার্থে আন্দোলন করছি।

পোশাক কারখানা মালিকদের উদ্দেশ্য করে তাসলিমা আখতার বলেন, তারা শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজে, রাজনীতি খোঁজে। রাজনীতির বাইরে কিছু নাই। খেয়ে পরে বাঁচার অধিকার শ্রমিকদের রাজনৈতিক অধিকার, বিক্ষোভ করা, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত হওয়া শ্রমিকদের সাংবিধানিক অধিকার। শিল্পের সমৃদ্ধির হিস্যা শ্রমিকদের দিতে হবে।

তাসলিমা আখতার আরও বলেন, মালিকরা আন্দোলন দমন করতে ভয় দেখাবে কিন্তু এই ভয়ের পাল্টা জবাব আমাদের দিতে হবে। বাবুল হোসেনকে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে ২০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয়েছিল। এরপরে অজ্ঞাতনামা মামলায় ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু বাবুল হোসেন নয়, বহু শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি মজুরি পুনর্বিবেচনা করে ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান এবং বাবুল হোসেনসহ সকল শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের মুক্তি ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।