ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা দায়ের, বিচারিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় বিএনপির অংশগ্রহণের সুযোগ রুদ্ধ করছে।
মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ঢাকাস্থ দৃকপাঠ ভবনে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির আয়োজনে ‘আবারো সাজানো নির্বাচন: নাগরিক উৎকণ্ঠা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, একাজে পুলিশ, জনপ্রশাসন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে সরকার। নির্বাচনের এই আয়োজন এমনকি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের চেয়েও নগ্ন, বেপরোয়া ও উদ্ধত। এই নির্বাচনের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অথনৈতিক ও সামাজিক সংকট ঘনীভূত হবে। এর সমর্থনকারী দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে নানাভাবে আরও বেশি অন্যায্য সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পাবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার আমাদের মনোপূত না হলেও, নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে শক্তিশালী। তাদের উচিত হবে অনৈতিক ও অযৌক্তিকভাবে যাদের রাজবন্দি হিসেবে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়া, যাতে করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হতে পারে। নির্বাচনী তফসিল পুনঃনির্ধারণ করা, কেননা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। বর্তমানে যেই পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। গণতন্ত্র মানে আলোচনা এবং আলোচনার সুযোগ দিতে হবে, সুসংগঠিত হয়ে সকলকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও অংশ নেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা শিরিন হক, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
এনবি/এমজেএফ