গাজীপুর: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ৪ ও ৫ আসনে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
এর আগে রোববার (০৩ ডিসেম্বর) ঋণ খেলাপির অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল।
এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪১ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রোববার গাজীপুর-১, গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৩ আসনের ২৭ জন প্রার্থীর দাখিল করা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে এসব প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ঋণ খেলাপির অভিযোগে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
সোমবার গাজীপুরে-৪ ও গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থীদের তথ্য বাচাই-বাছাই করা হয়। পরে ঋণ খেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ এবং পৌর কর পরিশোধ না করায় ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার অভিযোগে গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাচাই বাছাই শেষে এ তিনজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে মোট ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের তফসিল সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি প্রচার শেষ করে ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুরের ৫টি আসনে মোট ভোটার ২৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৯ জন। এছাড়া ৯৩৫টি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
আরএস/এফআর