ঢাকা: পৃথক তিনটি অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সক্রিয় সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানান এটিইউর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) ওয়াহিদা পারভীন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রুহুল আমিন (১৯), মো. রিয়াজুল ইসলাম (২৩) ও আরিফ হোসাইন ওরফে আরিফুল ইসলাম রাহাত (৩১)।
ওয়াহিদা পারভীন জানান, গাজীপুরের কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যশোরের মনিরামপুর থানা এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের আরেক সক্রিয় সদস্য রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে আনসার আল ইসলামের প্রচারণাসহ খেলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এনক্রিপ্টেড মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। তাদের নামে কাশিমপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া যাত্রাবাড়ীর পোস্তগোলা এলাকা থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মোট ৯টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আরিফ হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০২১ সালে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে কামিল পাস করেন। ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতিসহ ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম এইচএসসি পাসকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের শিবিরের কর্মী হিসেবে যোগদানে উৎসাহিত করতে ‘ব্রিজিং প্রজেক্ট’ চালু করে এইচএসসি পাস করা ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা তৈরি, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন ও ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেন। পরে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তির সুযোগ পেত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে শিবিরের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করতেন বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
পিএম/আরবি