ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তদবির এড়াতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের মিন্টো রোডের বাসায় অপরিচিত কাউকে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয় বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঘুষের টাকা সংক্রান্ত গণমাধ্যম একটি সংবাদের প্রতিবাদে মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রকাশিত সংবাদকে অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত উল্লেখ করা হয়।
তাতে বলা হয়, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম পর্বের পরীক্ষা হওয়ায়, ভিড় ও তদবির এড়াতে প্রতিমন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসায় অপরিচিত কাউকে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়।
'৭ ডিসেম্বর কতিপয় ব্যক্তি প্রতিমন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে হাউসগার্ড বাধা দেয়। কিন্তু তারা বাধা অগ্রাহ্য করে বাসার ভেতর প্রবেশ করে এবং গার্ডদের সঙ্গে চিৎকার, চেঁচামেচি ও ধস্তাধস্তি করতে থাকে। শোরোগোল শুনে বাসার লোকজন জানতে এসে তাদের সঙ্গেও আগন্তুকরা দুর্ব্যবহার শুরু করে। একপর্যায়ে পালিয়ে যাবার সময় একজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। '
প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী দ্ব্যার্থহীনভাবে জানান, তার সময়ে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকসহ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফলাফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ (বুয়েট) এখানে অন্যকোনো কিছু করার প্রশ্নই আসে না। ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে; যা স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ। কেউ এ নিয়োগ নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। আসন্ন নিয়োগ পরীক্ষাও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হবে বলে প্রতিমন্ত্রী সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়।
প্রতিমন্ত্রী আশা করে প্রকৃত তথ্য জানার পর এ ব্যাপারে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ পরিবেশেন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস