ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রতিবাদ করা শ্রমিকের মানবাধিকার, অপরাধ নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
‘প্রতিবাদ করা শ্রমিকের মানবাধিকার, অপরাধ নয়’

ঢাকা: পোশাকশ্রমিকের মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা বন্ধ এবং শ্রমিকনেতা বাবুল হোসেনসহ গ্রেপ্তারদের মুক্তি, নিহতদের জন্য ন্যায়বিচার দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে উপলক্ষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি।

গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক হযরত বিল্লাল এবং ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড।

বক্তারা বলেন, আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস অথচ পোশাকশ্রমিকদের মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত অবস্থায়। আন্দোলন-সংগ্রাম করা যেখানে শ্রমিকের মানবাধিকার সেখানে মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে পোশাকশ্রমিক ও নেতাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। পোশাকশ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা কাঙ্ক্ষিত মজুরির লড়াই করেছে। অথচ মজুরি ঘোষণা হয়েছে মাত্র ১২৫০০ টাকা। শ্রমিকরা মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি করলে তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতন, ১৩ (১) ধারা, ছাঁটাই, মিথ্যা মামলা গ্রেপ্তার।  আন্দোলনে যুক্ত থাকার অপরাধে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ আরও শ্রমিকনেতা ও শত শ্রমিকরা গ্রেপ্তার অবস্থায় জেলে আছেন, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে বাবুল হোসেন এবং মিজান রাজু, জুয়েলসহ সকল আঞ্চলিক নেতা ও গ্রেপ্তার শত শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

তারা বলেন, এবারের মানবাধিকার দিবসের ডাক ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’ পোশাকশ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। মজুরি আন্দোলনে ৪ জন পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছে অথচ তাদের ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা তৈরি হয়নি। মজুরি বৃদ্ধির লড়াই চলাকালে তাদের অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে। শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে পুলিশের গুলি। মালিক সরকার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে শ্রমিকদের ন্যায্য লড়াইকে ‘সন্ত্রাসী’ অপরাধকর্মে হিসাবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মজুরির লড়াই কোনো অপরাধ কর্ম নয়। সংগঠন-সংগ্রাম-প্রতিবাদ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শ্রমিকের মানবাধিকার। যে অধিকার খর্ব করার চেষ্টায় মালিক ও সরকার লিপ্ত। এই মানবাধিকার দিবসে শ্রমিকের মযাদা, ন্যায়বিচার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।