ঢাকা: ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায়ে অভিযান চালিয়ে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ নিয়ে মোট ৮৬৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ২৮ অক্টোবর এবং পরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায়, সোমবার ১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে যানবাহনে আগুন, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা ও নাশকতাসহ পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৮৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে র্যাবের চার শতাধিক টহল দল মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাব ফোর্সেসের রোবাস্ট টহল পরিচালিত হচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে এসকর্ট দিয়ে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ