ঢাকা: বিএনপির ডাকা ১১ দফায় অবরোধের প্রথম দিন আজ। তবে, অবরোধের প্রভাব দেখা যায়নি সড়কে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
টার্মিনাল এলাকায় বাসগুলো সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে পুলিশ সদস্যরা। তাদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। আর বাস ছাড়ছে যাত্রীর ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, পর্যাপ্ত যাত্রী পেলেই ছাড়ছে বাস।
এ বিষয়ে কথা হলে ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের তুহিন সুপার বাসের চালক স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, দূরপাল্লার বাস চলছে তবে খুবই কম। আমাদের যাত্রী হচ্ছে না তেমন। ফলে, অনেকক্ষণ পরপর বাস ছাড়ছে। যাত্রী না থাকলে খালি বাস তো আর চলতে পারে না। সে জন্য আমরা কোচগুলো পূর্ণ হলেই বাস ছাড়ছি। তবে, অনেকেই বাস বন্ধও রেখেছেন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী সৌখিন বাসের চালক আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে মূলত অবরোধ কার্যকর নেই। তবে, মাঝেমধ্যেই তো আগুনের ঘটনা ঘটে। এখন এটা বড়ো ক্ষতি না হলেও ক্ষতিই কিন্তু। তাই যেটা হয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক আছে। তারা ঝুঁকি নিতে চান না। তাই, একান্তই প্রয়োজন না হলে অবরোধে কেউ যাতায়াত করছেন না। ফলে, এর প্রভাব পড়েছে আমাদের ওপর। কিন্তু, আমরা বাস চালু রেখেছি।
ঢাকা-রংপুর রুটে চলাচলকারী এস আর প্লাস বাসের টিকিট বিক্রেতা মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এসি কোচগুলো চলছে না। আর, নন-এসিগুলোতে তেমন যাত্রী নেই। যাত্রী হলে আমরা বাস ছাড়বো। অবরোধে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আমরা নিরুপায়।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ১১ দফায় ৩৬ ঘণ্টার এই অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
এমকে/এফআর