রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ফুয়াদ আল খতিবের মৃত্যুর রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ একরামুল ইসলাম তদন্ত কমিটি গঠনের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— আবাসিক শিক্ষক রবিউল ইসলাম, ড. ইসমাইল হোসেন এবং কেএম মনিরুল ইসলাম।
হল প্রাধ্যক্ষ একরামুল ইসলাম বলেন, পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই মামলটি তদন্ত করছে। পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শিগগিরই সঠিক তথ্য জানা যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
এদিকে ফুয়াদের বাবা আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পরিবারের তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তার এই ছেলে খুবই বিনয়ী ও মেধাবী ছিল। তাই ঠিক কী কারণে ফুয়াদ এভাবে অকালে চলে গেল তার মৃত্যর প্রকৃত কারণ জানতে চান তারা। তার এমন মৃত্যু পরিবারের কেউই মানতে পারছেন না।
এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাবি শিক্ষার্থী ফুয়াদ আল খতিবকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ নিয়ে যান তার সহপাঠীরা। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তার মরদেহ গাইবান্ধায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানাজার নামাজ শেষে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নিজ গ্রামে তার মরদেহ দাফন করা হয়। হল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল এবং তার বুকসহ বিভিন্ন স্থানে কালশিটে দাগ ছিল।
আরও পড়ুন:
আবাসিক হলে রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
এসএস/এমজেএফ