ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

রাজশাহী: রাজশাহীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের ৫২তম বার্ষিকীতে জাতির সূর্যসন্তানদের গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের পর থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান।

সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলিউল আলম।  

আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) ড. মো. মোকছেদ আলী, রাজশাহী বিভাগ স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মান্নানসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকাণ্ড। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় অনিবার্য জেনে এ দেশকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করার উদ্দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। আর এদের সহযোগিতা করেছিল এ দেশীয় দোসররা।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গণহত্যা চালায়। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা। তাই সেসব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এর আগে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়। এতে পুলিশ প্রশাসনসহ শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।