কুমিল্লা: কুমিল্লার তিতাসে ডাকাতির টাকাপয়সা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামাল (৩৩) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- তিতাস উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের মো. নাজিম উদ্দীন ও রুমন ব্যাপারী ওরফে সুমন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মোস্তফা কামাল তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার মোস্তফা কামাল ও এজাহারভুক্ত আসামি সাইদুল (৩৬), নাজিম উদ্দিন (৩৯) ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকাপয়সা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সঙ্গে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীনের কথা কাটা-কাটি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়। এই প্রেক্ষিতে তারা ভিকটিম মোস্তফা কামালের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে তারা নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলছিলেন। এসময় সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের রুজিনা আক্তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে তিতাস থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নাজিম উদ্দীনকে ও পরে রুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সাইদুল পলাতক রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের মামলা আছে। আসামি সাইদুলের নামে ছয়টি, রুমন ব্যাপারী ওরফে সুমনের নামে দশটি, মাইন উদ্দীনের নামে নয়টি ও নিহত মোস্তফা কামালের নামে সাতটি চুরি-ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের ছয়টি মামলা আছে।
আরও: পড়ুন: তিতাসে আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এসএম