নীলফামারী: হলুদের ছড়াছড়ি। দিগন্তজোড়া হলুদের ক্ষেত হলুদের আভা ছড়াচ্ছে।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, শাক-সবজি আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেননি। প্রতিবছর লোকসানে বেড়েছে দেনার এই বোঝা। ফলে কৃষকরা তেল জাতীয় সরিষার আবাদে ঝুঁকে পড়ে।
কম সময় ও স্বল্প খরচের বিপরীতে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা। প্রতি বছরই ভালো ফলনের আসায় সরিষার চাষের পরিমাণও বাড়ছে। সরকারি প্রণোদনা ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষক। দানাদার শস্যটির চাষ বাড়লে দেশে ভোজ্যতেলের ঘাটতি অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকেরা জানায়, এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে (হাল, বীজ, সার) খরচ হয় পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। এক বিঘা জমিতে সাত থেকে আট মণ সরিষা পাওয়া যায়। প্রতি মণ দাম দাঁড়ায় তিন হাজার ২০০ টাকা। আর বিঘায় খরচ বাদে লাভের পাশাপাশি নিজেদের তেলের চাহিদাও পূরণ হয়। দামও ভালো মিলবে এমনটি আশা করছেন জেলার কৃষকরা।
কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১৪ ও বারি-১৫ এবং স্থানীয় জাতের (পেঁচি/টরি-৭) সরিষা জেলায় বেশি আবাদ হয়ে থাকে। এছাড়া বারি-৯, বিনা-৯/১০, সরিষা-১৫, সোনালি সরিষা (এসএস-৭৫) জাতের সরিষাও আবাদ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু কিছু এলাকায় ক্ষেতের পাশে মৌ বাক্স বসিয়ে মধুও পাচ্ছেন কৃষকরা। সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি ও প্রজাপতির আনাগোনা বেশি হলে সহজে পরাগায়ন হয়। এতে ফলন অনেকাংশে ভালো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
এসএম