ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) রক্তাক্ত এক শিশুকে নিয়ে আসেন নূরনবী নামের এক ব্যক্তি। নিজেকে ওই শিশুর বাবা পরিচয় দেন তিনি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শিশুটিকে আর বাঁচানো যায়নি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
তবে শিশুটির মৃত্যুর পর পর বাবা পরিচয়দানকারী নূরনবী উধাও হয়ে যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা হয়, শিশুটির লাশ ফেলে পালিয়েছেন তার বাবা।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে আসার পর পুলিশকে নুরনবী নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুটির বাবা পরিচয় দেন। তিনি, শিশুটির নাম শাফিন আহন বলে জানান।
তিনি জানিয়েছিলেন, আজ সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকায় বাসার সামনে খেলছিল তার ছেলে শাফিন। এ সময় একটি ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয়েছিল সে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর রুমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই ব্যক্তি উধাও হয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নুরনবীর বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বলে জানিয়েছিলেন তখন।
তবে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে হাসপাতালে ফিরে আসেন নূরনবী আহন। সঙ্গে ছিলেন শিশুটির মাও।
এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নূরনবী জানান, নিহত শিশু শাফিন আহন তার ছেলে। সকালে তিনি নিজেই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তবে সে মারা যাওয়ার পর বিষয়টি তিনি একা সামাল দিতে পারবেন না ভেবে মরদেহ রেখেই তিনি বাসায় গিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে।
শিশুটির মা রাজিয়া আক্তার বলেন, তারা যাত্রাবাড়ী কাজলা ছনটেক এলাকায় থাকেন। সকালে বাসার সামনে গলিতে খেলছিল তার ছেলে শাফিন। তখন ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের ধাক্কা লাগে তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
এসএইচডি/এসএএইচ