বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে ভাইরাল করা হবে ভয় দেখিয়ে ছয় মাস ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেছে ভুক্তভোগী এক কিশোরী।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাতদিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামি হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে উরবুনিয়া গ্রামের মৃত্যু মজিবর ফকিরের ছেলে আবদুল জলিল ফকির (৪০)।
ওই ট্রাইব্যুনালে কিশোরীর অভিযোগ করে, তার (কিশোরীর) মা প্রবাসে থাকেন। বাবা সাগরে মাছ ধরেন। প্রতিবন্ধী ছোট ভাই ছাব্বিরকে নিয়ে গ্রামে বসবাস করে সে। আবদুল জলিল প্রায়ই তাকে যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য কারণে-অকারণে কিশোরীর বাড়িতে এসে অহেতুক গল্প করতেন। কিশোরী জলিলকে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। গত বছর ১৪ জুলাই দুপুরে কিশোরী নিজ বসতঘরের পাশে পাকের ঘরে রান্না করছিল। এমন সময় খালি ঘর পেয়ে কিশোরীকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন এবং ভিডিও ভাইরাল হয় এমনটা না চাইলে সব গোপন রাখা হয় বলেন জলিল। পরে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হবে এমন ভয় দেখিয়ে দেখিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। একই ভয় দেখিয়ে সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি সকালেও কিশোরীকে ধর্ষণ করেন জলিল।
কিশোরী বলে, আমি আমার ও পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে ও ভয়ে এতদিন সব গোপন রেখেছি। পরে আর সহ্য করতে না পেরে ও কোনো উপায় না পেরে ১৪ জানুয়ারি বরগুনা থানায় জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আমি জলিলের বিচার চাই।
অভিযুক্ত জলিলের মোবাইলফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ মামলা নেয়নি বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওই কিশোরী বা তার কেউ বরগুনা থানায় মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হতো। মামলা নেওয়া হয়নি বিষয়টি মিথ্যা অভিযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসআরএস