মানিকগঞ্জ: পাটুরিয়া ৫ নম্বর পন্টুনের কাছে নোঙর করা অবস্থায় পানি ঢুকে ত্রিশ চল্লিশ মিনিট সময় নিয়ে সম্পূর্ণভাবে ডুবে যায় রজনীগন্ধা নামে ইউটিলিটি ফেরি। ডুবে যাওয়ার পরে জীবিত অবস্থায় ২০ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীর।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কথা হয় নিখোঁজ হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম সঙ্গে।
নিখোঁজ হুমায়ুন কবীরের সন্ধান পেতে তার পরিবারের সদস্যরা পাটুরিয়া ঘাট ও উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা (প্রত্যয়ের কর্মকর্তারা) সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে নোঙর করা অবস্থায় পানি প্রবেশের পর ধীরে ধীরে পদ্মায় নিমজ্জিত হয় ফেরিটি। ডুবে যাওয়ার সময় নয়টি যানবাহন ও ২১ জন মানুষ ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সহায়তায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ হয় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীর। নিখোঁজ হুমায়ুন কবীর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনে যোগদান করেন। তার (হুমায়ুন কবীর) এর আগের কর্মস্থল ছিল নারায়ণগঞ্জ। ৮ মাস আগে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধায় যোগদান করেন হুমায়ুন কবীর।
নিখোঁজ হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় সবাইকে ডেকে তোলেন ভাই। সবাই জীবিত উদ্ধার হলেও আমার বড় ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমার পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা ভালো নেই। মা, ভাইয়ের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ছিল তার পারিবারিক জীবন। আমি সরকার প্রধানের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমার ভাতিজি ও ভাতিজার ভবিষ্যতের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় আনতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
আরএ