ঢাকা: নানা আয়োজনে ঢাকায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক অভ্যর্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার রাশিয়ার দূতাবাস।
রাশিয়ান ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে লড়াইয়ের সময় রাশিয়া আমাদের পক্ষে সহায়তা করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বন্দরে মাইন অপরেশন, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ অবকাঠামো উন্নয়নে রাশিয়া অবদান আমরা স্মরণ করি। আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক বাড়বে বলে প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার মান্তিৎস্কি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ইতিহাসে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা, অর্জন ও গৌরবময় স্মৃতি রয়েছে। রাশিয়ান এবং বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার শক্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও মস্কো ও ঢাকার মধ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতা অনেক ক্ষেত্রেই বিকশিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে রাশিয়ান-বাংলাদেশ সম্পর্ক বেশ কয়েকটি মাইলফলক দেখা যায়, যেমন সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের প্রথম বাংলাদেশ সফর, অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতি এবং নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের শুভেচ্ছা সফর।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে মস্কো ও ঢাকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আমার প্রত্যাশা আমাদের জনগণের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি আনবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
টিআর/এএটি