ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কিশোরীকে নিয়ে চেয়ারম্যানের লাইভ, ভিডিও ভাইরাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪
কিশোরীকে নিয়ে চেয়ারম্যানের লাইভ, ভিডিও ভাইরাল

কুমিল্লা: কুমিল্লায় এক কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধের সময় তাকে নিয়ে লাইভ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ভূঁইয়া।  

তার করা ৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডের লাইভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

 

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিডিওটি ফেসবুকে দুই হাজার ১০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে।  
বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান ওই ভিডিও লাইভ করায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।  

ঘটনাটি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ শিলমুড়ি ইউনিয়নের।  

জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারির ওই ভিডিওটি সরাসরি প্রচার হয় চেয়ারম্যান হাজী ফারুক সমর্থক নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে। এরপর এটি ফেসবুকে ছড়াতে থাকে।  

ভিডিওতে দেখা যায়, এক কিশোরীর (১৪) বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নিয়ে তার বাড়িতে যান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ভূঁইয়া। সেখানে ওই কিশোরীকে দেখিয়ে দেখিয়ে তার বাল্যবিয়ে বন্ধ করছেন বলে প্রচার করেন চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে নানা পরামর্শ দেন।  

এসময় চেয়ারম্যান তার নাম, বাবার নাম, বাড়ির নাম, স্কুলের নাম, শ্রেণিসহ সম্পূর্ণ পরিচয় লাইভে পড়ে শোনান। চেয়ারম্যান ফারুক ওই কিশোরীকে দিয়ে লাইভে বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা করান। সেই সঙ্গে ওই কিশোরীর আরেক ছোট বোনসহ দুজনের দায়িত্ব নেয়ার কথাও জানান।  

লাইভেই তিনি তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে যত টাকা দরকার তা দেবেন বলে ঘোষণা দেন। এসময় সঙ্গে থাকা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কথায় একাত্মতা প্রকাশ করে বাল্য বিয়ে না করতে উদ্বুদ্ধ করেন।

কুমিল্লার প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব এক অপরাধ বন্ধ করতে গিয়ে নিজে বড় অপরাধ করে বসেছেন। নিজেকে শো করতে গিয়ে কিশোরীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। কিশোরীকে লাইভে আনা তার মোটেও ঠিক হয়নি।  

এ বিষয়ে দক্ষিণ শিলমুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ভূঁইয়ার ফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়ার পরেও তিনি সাড়া দেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরামর্শ দেওয়া বরুড়া উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা বেগম বলেন, আমি ওনার আগেই গিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে। আমরা উনাকে (চেয়ারম্যান) মা ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। হঠাৎ দেখি উনি রেকর্ড করা শুরু করে দিয়েছেন। একটা কিশোরীকে এভাবে শো করাটা আমিও সাপোর্ট করি না। সামনে তাকে বিয়ে দিতে হবে তো।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আরো বলেন, কাজটা ঠিক হয় নাই। চেয়ারম্যান সাহেব তার প্রচারের জন্য এই কাজটা করেছেন। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে অনুরোধ করব যেন ভিডিওটা ডিলিট করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬,  ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।