ফেনী: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেড় মাসের সাজা ও এক লাখ ৭০ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড হওয়ার পর পালিয়ে ছিলেন আবদুল মান্নান (৪২)। তিনি সাজা থেকে বাঁচতে নাম-পরিচয় গোপন করে চার বছর চট্টগ্রামে পালিয়ে ছিলেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ছাড়াইতকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মান্নান সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি এলাকার আহসান উল্যাহর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০২০ সালে প্রতারণা, চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আর আদালতে হাজির হননি। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাকে একটি মামলায় দেড় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ ৭০ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর মান্নানের খোঁজে মাঠে নামেন তিনি। কিন্তু আত্মগোপনে থাকায় তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার এড়াতে মান্নান প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। কয়েকদিন আগে তাকে ধরতে তিনি তার গ্রামের বাড়িতে ও সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন মান্নান গ্রেপ্তারের ভয়ে নাম-পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে রয়েছেন।
মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তার মোবাইল নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেই নম্বরের সূত্র ধরে সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ছাড়াইতকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে ফেনীর আদালতে আরও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আবদুল মান্নান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসএইচডি/আরআইএস