ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ফরিদপুরের ৮১ ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভায় গণগ্রন্থাগার করা হবে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
‘ফরিদপুরের ৮১ ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভায় গণগ্রন্থাগার করা হবে’

ফরিদপুর: ‘আগামী এক বছরের মধ্যে ফরিদপুরের ৮১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি করে গণগ্রন্থাগার করা হবে। যে গ্রন্থাগারে পাঠক বেশি হবে সেই গ্রন্থাগারকে পুরস্কৃত করা হবে।

পাশাপাশি প্রতি বছর গ্রন্থাগার সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনে সেরা লাইব্রেরি ও পাঠককে পুরস্কার দেওয়া হবে। ’

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।  

সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন ও ময়েজউদ্দিন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। আমরা চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করি। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেই। মনে করি আমি বড় পণ্ডিত হয়ে গেছি। কিন্তু এ ভাবনা মূর্খতা। আসলে লেখাপড়ার কোনো শেষ নেই। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আমাদের লেখাপড়ার মধ্যে থাকতে হয়।

তিনি বলেন, বই না পড়লে মগজের পুষ্টি হবে না, চিন্তার খোরাক পাওয়া যাবে না। চিন্তার খোরাক সৃষ্টি করে বই। বই না পড়লে ভালো মানুষ হওয়া যায় না। ভালো মানুষ মাদক গ্রহণ করে না, ইভটিজিং করে না কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ায় না।

জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি আমাদের সৃজনশীলতা ধ্বংস করছে, পড়ার অভ্যাস কেড়ে নিয়ে আমাদের রোবট জাতিতে পরিণত করছে। যার পরিণতি ভয়াবহ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের এজন্য আমাদের স্কুলে ও মহল্লায় লাইব্রেরির আন্দোলনকে জোরদার করে তুলতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়েজউদ্দিন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান সাজু আহম্মেদ।

আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ শিক্ষক এম এ সামাদ, মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ রেজভি জামান, প্রবীণ সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালা, বেসরকারি লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী এম এম মুসা খান, ফয়সাল ইসলাম, মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাওহিদ আলম ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুমায়রা জান্নাতী।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে বই পাঠ, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বই ও সনদ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি’-প্রতিপাদ্যকে নিয়ে ফরিদপুরে পালিত হয় জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।