ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় পুকুরিয়া বাজারের ১৫ থেকে ২০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ভাঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া, কনস্টেবল জহিরুল, আবুল কালাম, কাজী রাব্বি ও শোহেব মোল্লা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে পুকুরিয়া বাজার বাসস্ট্যান্ডে অটোচালক হামেরদী ইউনিয়নের ছোট মুসকুন্নী গ্রামের মিরাজুল মাতুব্বর রাস্তার মধ্যে অটো রাখলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের ফজলু মিয়া তার অটো সরাতে বলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে দুই ইউনিয়নের গ্রাম্য মাতুব্বররা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক করে। ওই সালিশে মীমাংসা না হওয়ায় দুই পক্ষের লোকজন একত্র হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় পুকুরিয়া বাজারের ১৫ থেকে ২০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এসময় পাঁচ পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সুইটি আক্তার জানান, মারামারির ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিবরিয়া বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। এসময় আমিসহ পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছে। আমাদের ওসি সাহেবও সামান্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটা দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
আরএ