ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে ধর্ষণ: আরেক আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মো. হারুন (৪২)  নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার হারুন উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত বশির আহম্মদের ছেলে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। হারুন এ মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি। ঘটনার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ান। এমনকি যশোর সীমান্ত দিয়ে একবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পর থেকে পুলিশ তার গতিবিধি নজরে রাখে। এ নিয়ে এ মামলার তিন আসামির সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে গতকাল (বুধবার) আদালতে উপস্থাপন করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ শুনানি শেষে আদেশ দেবেন আদালত।

মামলার অপর আসমি মেহরাজ উদ্দিন (৪৮) অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এসময় আসামি মেহরাজ জানিয়েছে, এ মামলার অপর দুই আসামি আবুল খায়ের মুন্সী ও মো. হারুনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে তিনি ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে চুরি করার উদ্দেশ্যে তার বসতঘরে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে। এরপর তিনি ঘরের দরজা খুলে দিলে মুন্সি মেম্বার ও হারুন ভেতরে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে মুন্সি মেম্বার ও হারুন দুইজন মিলে পালাক্রমে ওই নারীকে গণধর্ষণ করেন। এসময় মেহরাজ পাশের কক্ষে থাকা ওই নারীর ১২ বছরের শিশু কন্যাকেও ধর্ষণ করেন। পরে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে তিনজন ঘর থেকে বেরিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে ঘরের সিঁদ কেটে এক গৃহবধূ ও তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আবুল খায়ের মুন্সী ও মো. হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ, পরস্পর সহযোগিতায় গণধর্ষণ, ধর্ষণ, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদী থেকে আবুল খায়ের মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গতকাল মঙ্গলবার রাতে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরাজ একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।