শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষের ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কালাম খান ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ইকবাল সরদারের মধ্যে আধিপত্য ও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। নয়ন মাদবর কান্দির পার্শ্ববর্তী মৃধাকান্দি গ্রামের দানেশ হত্যাকে কেন্দ্র করে কালাম সরদারসহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন পালাতক থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন এলাকায় আসে। এরপর থেকে দুই গ্রুপের লোকজন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। শুক্রবার সকালে কালাম মেম্বার গ্রুপের লোকজন ইকবাল সরদারের বাড়িতে ঢুকে পাঁচ থেকে ছয়টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয়। এরপর দুপুর পর্যন্ত উভয়পক্ষ প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এঘটনায় বসতবাড়ির জানালার গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন।
মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কালাম খান বলেন, গতকাল রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে হামলা করেছে ইকবাল সরদারের লোকজন। পরে শুক্রবার সকালেও তার লোকজন এসে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে মামলার সিদ্ধান্ত নেব।
ইকবাল সরদার বলেন, আমি গতকাল রাতে বাড়িতে ছিলাম। সকালে তার লোকজনই আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। মামলার বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব।
নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শোনার পর পুলিশ উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
এসএম