ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেয়েকে হারপিক খাইয়ে হত্যা, মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
মেয়েকে হারপিক খাইয়ে হত্যা, মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৯ মাসের মেয়ে আফিয়াকে হারপিক খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ে আফিয়ার মৃত্যু হলেও মা আঁখি বেগমকে (১৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

 

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আঁখি বেগম টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গাছ কাটা শ্রমিক মামুন তালুকদারের স্ত্রী।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীর সঙ্গে কলহ ও অভাব অনটনের কারণে গৃহবধূ আঁখি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামের নূর আলম শেখের মেয়ে আঁখি বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মামুন তালুকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মামুন তেমন কোনো কাজ করতেন না। মাঝে মধ্যে গাছ কাটা শ্রমিকের কাজ করলেও অধিকাংশ সময় বেকার সময় কাটাতেন। তাই সংসারে অভাব অনটন লেগেই ছিল। এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ও মনোমালিন্য চলে আসছিল।

ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান বলেন, শনিবার মামুন তালুকদারের স্ত্রী আঁখি বেগম তার ৯ মাসের মেয়ে আফিয়াকে প্রথম হারপিক খাওয়ান। পরে নিজেও হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি স্থানীয়রা জানার পর তাদের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাচ্চাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার করেন।

তিনি বলেন, পরিবারটি অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছিলেন। এই কারণে স্বামী-স্ত্রীর  মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-ঝাঁটি লেগেই থাকতো। তাই রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে ও অভিমানে মামুনের স্ত্রী আঁখি বেগম এ ঘটনা  ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।  

এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে অথবা তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, মায়ের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তার চিকিৎসা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।