ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পোড়াদহ মেলায় নজর কেড়েছে ১২ কেজির মাছ মিষ্টি 

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
পোড়াদহ মেলায় নজর কেড়েছে ১২ কেজির মাছ মিষ্টি  ১২ কেজির মাছ মিষ্টি। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: প্রায় চারশ বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যের পোড়াদহ মেলা মাছের জন্য বিখ্যাত। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ এলাকায় এ মেলার আয়োজন করা হয়।

মেলায় ভোর থেকে দিনব্যাপী মেলার বেশিরভাগ জুড়ে স্থান পায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বড় বড় মাছের নাম শোনা যায় এ মেলায় আসা নানা শ্রেণীপেশার মানুষের মুখে মুখে। সেই মাছকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয় বাহারি মিষ্টান্ন সামগ্রী। নাম দেওয়া হয় ‘মাছ মিষ্টি’। বাতাসে ঘ্রাণ ছড়ায় এসব মিষ্টির। মাছের পাশাপাশি এসব মিষ্টান্ন সামগ্রী বেচাবিক্রিতেও বেশ সুনাম রয়েছে এ মেলার। সব পোড়াদহ মেলায় মাছ’ মিষ্টি এক ভিন্ন আকর্ষণ।

এ মেলায় নিমন্ত্রণে আসা নতুন-পুরোনো জামাই বাবুরা শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে সাধ্যানুযায়ী পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের সেলামি। সঙ্গে যুক্ত হয় নিজের জমানো টাকা। এসব টাকায় চলে কেনাকাটার ধুম। তবে কেনাকাটার তালিকায় মাছের পর স্থান পায় রকমারি মিষ্টান্ন সামগ্রী। এর মধ্যে প্রাধান্য পায় মাছের আদলে তৈরি করা ‘মাছ’ মিষ্টি।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় আসা জামাই ও স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য ওঠে আসে।

মেলায় আসা এই এলাকার জামাই রাব্বি হাসান বাংলানিউজকে বলেন, মেলা থেকে ১১ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ সাড়ে ৮ হাজার টাকায় কিনেছি। পাশাপাশি মাছের সঙ্গে মিল রেখে ৬ কেজি ওজনের একটি ‘মাছ’ মিষ্টি কিনেছি এক হাজার ৯শ’ টাকায়। মাছ ও মিষ্টি নিয়ে শ্বশুরালয়ে যাব। শ্বশুরবাড়িতে সেই মাছ রান্না হবে। মাছ ও মিষ্টিতে আনন্দ আর উল্লাস চলবে বাড়িতে।

মিষ্টি দোকানি গাবতলী উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকা থেকে আসা রাব্বি হাসান বাংলানিউজকে জানান, এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকেই তারা এ মেলায় আসেন এবং বাহারি ডিজাইনের মিষ্টান্ন সামগ্রী নিয়ে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিপুল পরিমাণ মিষ্টান্ন সামগ্রী নিয়ে তারা মেলায় এসেছেন। বেচাকেনাও বেশ ভালো। এবার তিনি ১২ কেজি ওজনের একটি বড় মিষ্টি মেলায় এনেছেন৷ ৪০০ টাকা কেজি ধরে মিষ্টিটার দাম হাকিয়েছেন ৪ হাজার ৮০০ টাকা ৷

ছোট-মাঝারি ও বড় আকারের ‘মাছ’ মিষ্টি, লাভ মিষ্টি, কদম মিষ্টি, চমচম, হাসিখুশি, কালোজাম, স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার জিলাপি, লাড্ডু, মুড়ি-মুড়কি, কদমাসহ নানা রকমের মিষ্টান্ন সামগ্রী রয়েছে মেলায় আসা দোকানগুলোতে। এর মধ্যে বড় আকারের মিষ্টি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের সাদা ও কালো মিষ্টি ২৫০ টাকা কেজি, ছোট আকারের মিষ্টি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, ছানার জিলাপি ২০০ টাকা কেজি, পাতা মিষ্টি ২৮০ টাকা কেজি, কদম ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পোড়াদহ মেলায় মাছ ও মিষ্টির সঙ্গে বাহারি ডিজাইনের কসমেটিকস, খেলনা, গিফট সামগ্রী, চুড়ি, কানের দুল, মালা, কাজল, মেকআপ বক্স, ব্যাট, বল ভিডিও গেমসসহ নানা ধরনের প্রসাধনী ও খেলনা সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়াও এ মেলায় পাওয়া যায় কাঠের, স্টিল ও লোহার বিভিন্ন আসবাবপত্র। মেলায় বাঁশের নানান সামগ্রীও পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।