পিরোজপুর: পিরোজপুরে পৃথক হামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. ছগির হাওলাদার (৩২) নামে এক যুবকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই পৃথক ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জেলার ইন্দুরকানীতে মো ছগির হাওলাদার নামে এক যুবকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় দুইজনের নামে মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে আহত ছগিরের বড় ভাই আব্দুল জলিল হাওলাদার বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুইজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মো. শামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মো. কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী নারগিস আক্তার (২৭)।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ছগির হাওলাদার তার ব্যবসার পাওনা টাকা চাইলে কামরুল উত্তেজিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে ছগিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। কোপে ছগিরের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত ছগির উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ছগির হাওলাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দুইজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নারগির আক্তারকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া জেলার নাজিরপুরে শত্রুতার জেরে মো. রাজু শেখ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতসহ হাতের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ওই নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামনগর শেখমাটিয়া সড়কের হান্নান সর্দারের বাড়ির সামনে। আহত রাজু শেখ স্থানীয় শেখমাটিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান শেখের ছেলে ও শেখমাটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একই এলাকার মো. লুৎফর রহমান শেখ (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন সন্ধ্যার আগে রাজু শেখ নিজ বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় শত্রুতার জেরে একই এলাকার হাফিজ শেখ ও তার বাবা রব শেখ রাজুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে ও ডান হাতের রগ কেটে দেয়।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার মুনিয়া জামান বলেন, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় আহত রাজুর বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
আরএ