ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ: ঢাকার সাভারে র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার শাহাদৎ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত কাইয়ুম মোল্লার ছেলে।

২০১০ সালে জোড়া খুনের ঘটনায় ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হোসেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের ৪ আগস্ট ভোমরা স্থলবন্দর হতে পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের উদ্দেশে রওনা করেছিলেন চালক জয়নাল হোসেন (৪০) ও হেলপার রুবেল ওরফে রাসেল (২৮)। দুদিন পর ৬ আগস্ট ট্রাকটি ঢাকার ধামরাই থানার শ্রীরামপুর নামক স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানা এলাকা থেকে ট্রাকটির চালক জয়নাল এবং হেলপার রুবেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত ট্রাক চালকের ছোট ভাই বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি আত্মগোপনে চলে যায় এবং সাভার থানার কর্ণপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।

এদিকে ওই জোড়া খুনের মামলায় ২০২৩ সালে অক্টোবর মানিকগঞ্জের আদালত জোড়া খুনের মামলায় শাহাদৎ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। সে সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানি ও র‌্যাব-৪ এবং সিপিসি-২ সাভার ক্যাম্পের সদস্যরা ঢাকা জেলার সাভার থানার কর্ণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহাদৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।