সিরাজগঞ্জ: জেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমরান হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শ্যালক মো. রাসেদুল ইসলাম (৩১) পলাতক আছেন।
শনিবার (০২ মার্চ) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরানের মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার (০১ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের উত্তর সারটিয়া গ্রামে ইমরানকে কুপিয়ে আহত করেন রাসেদুল।
নিহত ইমরান সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি সারটিয়া গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন। আর অভিযুক্ত রাসেদুল ওই গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, উত্তর সারটিয়া গ্রামে ফরিদুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করতেন ইমরান হোসেন। বেশ কিছুদিন আগে শ্যালক রাসেল তাকে মারধর করলে তিনি থানায় অভিযোগ দেন। এদিকে সম্প্রতি রাসেদুল ইসলামের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা করেন তার স্ত্রী। ওই মামলায় ওয়ারেন্ট হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান রাসেদুল। রাসেদুল মনে করেন তার বোনজামাইয়ের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে আসে। এরপর বাড়ি ফিরে তিনি বোনজামাই ইমরান হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান।
আহত ইমরানকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় ভোরে ইমরানের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে স্বজনেরা রাসেদুলের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে ইমরানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন তার শ্যালক রাসেদুল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই ইমরানকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আছে। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৪
এফআর