কক্সবাজার: নাফ নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলসহ ছয় পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
রোববার (৩ মার্চ) ভোর ও শনিবার রাতে চালানো অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া এলাকার বাসিন্দা মো. তৈয়ব (৪৩), মো. সলিম (২৬), মো. জসিম উদ্দিন (১৮), মো. মজিবুল্লাহ (১৮) ও মো. রিদওয়ান (২২) ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ (৪৮) ।
রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম তাহসিন রহমান।
তিনি বলেন, শনিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এবং রোববার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী সংলগ্ন নাফ নদীতে পৃথক পৃথক অভিযান চালানো হয়েছে।
এস এম তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমারে পাচারের জন্য টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন সৈকতের ঝাউবন এলাকায় বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী ও জ্বালানি তেল মজুদ করা হয়েছে এমন খবরে কোস্টগার্ডের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় নাফ নদীতে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলারকে থামার সংকেত দিলে টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে ট্রলারটিকে ধাওয়া করে ২১ বস্তা রসুন, ১৭ বস্তা চিনি, ৩ বস্তা বিস্কুট ও ৩৭ লিটার ডিজেল জব্দ করা হয়। এসময় ট্রলারে থাকা ৫ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে রোববার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকা সংলগ্ন নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারে পাচারকালে ১৫ বস্তা খাদ্যপণ্য ও ১২০ লিটার অকটেনসহ এক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, অভিযানে আটক মো. শফিউল্লাহর কাছ থেকে ৪ বস্তা চাল, ৪ বস্তা চিনি, ৭ বস্তা ময়দা, ১২০ লিটার অকটেন, ৩৫ প্যাকেট বিস্কুট, ১০ প্যাকেট চকলেট, ৪ প্যাকেট চানাচুর, ৩ প্যাকেট সুজি, ১০ প্যাকেট হুইল সাবান, ১ প্যাকেট নুডুলস, ২ প্যাকেট আটা, ১ কেজি মরিচের গুঁড়া, ৪ কেজি ডাল, ৫ লিটার পামঅয়েল, ২ টি স্টার শিপ দুধ ও অন্যান্য কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৪
এসবি/এসএএইচ