ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইটিপি পর্যবেক্ষণ করতে ডিভাইস বসানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
ইটিপি পর্যবেক্ষণ করতে ডিভাইস বসানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী কথা বলছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

ঢাকা: সার্বক্ষণিক ইটিপি পর্যবেক্ষণ করতে ডিভাইস বসানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে (ডিসি) শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আড়াইহাজার এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) আছে, যেগুলো আমাদের পক্ষে মনিটরিং করা সম্ভব না। ইটিপি অনেকের আছে, কিন্তু চালায় না। যখন কোনো পরিদর্শক যাওয়ার খবর তারা পায়, তখনই চালু করেন। ইটিপি যখন তারা একদিন বন্ধ রাখেন তাহলে লাখখানেক টাকা বেঁচে যাবে। কাউকে যদি আমরা তিন মাস পর জানিয়ে দিই, অমুকে ইটিপি চালাচ্ছেন না, তখন তাকে জরিমানা করা হয় ১০ হাজার টাকা। এই টাকা জরিমানা দিয়ে একটা অবৈধ কার্যক্রমকে আমরা বৈধতা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, যে কারণে জরিমানার মাত্রা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি স্মার্ট মনিটরিংয়ের চেষ্টা করছি। প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে, প্রতিটি ইটিপিতে যদি একটা ডিভাইস বসাতে পারি, তাহলে সেই ইটিপি সারাক্ষণ চলছে কি, চলছে না, সেটার একটা তথ্য আমাদের কাছে আসবে।

ডিসিদের কাছে প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের সম্মেলনের দুটি উদ্দেশ্য। একটি হচ্ছে মাঠ প্রশাসনের কথা আমরা শুনি। আর আমাদের প্রত্যাশা তাদের কাছে, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করি। পরিবেশ অধিদপ্তরের মূল উদ্দেশ্য মানমাত্রা নির্ধারণ করা। বাস্তবায়নের কাজ মাঠপর্যায়ের। আমাদের প্রতিটি কাজের জন্য ডিসিদের ওপর নির্ভরশীল। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে তারা এটা বাস্তবায়ন করেন। এখন উন্নয়নের সঙ্গে আরেকটি শব্দ যুক্ত হয়েছে, সেটা হচ্ছে টেকসই। টেকসই উন্নয়ন। কাজেই উন্নয়নের ধারাকে স্থায়িত্ব দিতে চাইলে আমাদের অবশ্যই পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এখানে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা দরকার।

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে যায়, অর্থাৎ এক জায়গায় একটা পাহাড় ছিল, সেটাকে সমান করে পরবর্তীতে শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। আমরা যে কাজটি করেছি, ১৫ কিংবা ২০ বছর আগে গুগল সার্চ করে একটা ম্যাপিং করতে পারছি। আজ থেকে ১৫ বছর আগে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক চিত্র কী ছিল, বর্তমানে কী আছে? দেখা যাচ্ছে, ১৫ বছর আগে একটা জলাধার কিংবা পাহাড় ছিল, সেটা কেটে কেউ হাউসিং করেছে, আমরা সেটা চিহ্নিত করে পুনরুদ্ধার করতে পারবো। এসব ক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৪
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।