ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খাল তাদের, কিন্তু গালি খাচ্ছি আমরা: মেয়র আতিকুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
খাল তাদের, কিন্তু গালি খাচ্ছি আমরা: মেয়র আতিকুল

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি খাল (লেক) নিয়ে বলেছেন, এর মালিকানা ঢাকা ওয়াসা ও রাজউকের। যখন আমি তাদের বললাম- এটি আমাকে দিয়ে দিন, ওয়াসা বলল- এ খাল তাদের নয়, রাজউকের।

আবার রাজউক কাগজে দেখাচ্ছে এই খাল ওয়াসার।  

তিনি বলেন, একটি খাল নিয়ে নিজেদের মধ্যেই এ ধরনের খেলা চলছে। কিন্তু কষ্ট পাচ্ছে জনগণ। খাল তাদের, কিন্তু তারা গুছিয়ে রাখছে না। তাই জনগণের কষ্ট লাঘব করতে ডিএনসিসি এ নিয়ে টানা চারবার খালটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। পরিষ্কার করার পর কিছুদিনের মধ্যে আবার কচুরিপানায় ভরে যাচ্ছে।  

বুধবার (২০ মার্চ) মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সকাল ১০টা থেকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ওই খালে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনার কাজ শুরু করে ডিএনসিসি।  

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানার কারণে খালটি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এতে আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ বসবাসের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরা এলাকার মশার ঘনত্ব অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। তাই উত্তরাবাসীদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত থাকবে।  

তিনি বলেন, এ খাল যারই হোক না কেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের কর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। যদিও এর মালিকানা ডিএনসিসির নয়, তারপরও জনগণের স্বার্থে এ খালে পরিচ্ছন্নতার কাজ আমরা করছি। এই খালে এখন পর্যন্ত সুয়ারেজ কানেকশন হয়নি। তারপরও মানুষ বসবাস করছে। আমরা দেখছি, যেকোনো কানেক্টিভ ওয়েতে এতে দূষিত পানি (কালো পানি) চলে আসছে। এতে বেশি পরিমাণে মশার লার্ভা তৈরি হচ্ছে, মশা হচ্ছে। খাল রাজউক-ওয়াসার, কিন্তু গালি খাচ্ছে সিটি করপোরেশন।

খালটি পরিষ্কার করতে সিটি করপোরেশনের প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ আমাদের এখানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম আছেন। আমি মনে করি, এ খালের বিষয়ে দ্রুত সমাধান হবে। এটি যাতে অনতিবিলম্বে ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাহলে আমরা এটি জনমানুষের জন্য নিরাপদ করে দিতে পারব।  

সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন ডিএনসিসির কর্মীরা। তবে কচুরিপানা তুলতে গিয়ে নাড়াচাড়া দিলেই অসংখ্য মশা ও ক্ষতিকর পোকা উড়তে শুরু করে। দেখে মনে হচ্ছিল, ধুলার চেয়ে যেন মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। সেখানে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মশা ঘিরে ধরতে থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।