ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইজিবাইক চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
ইজিবাইক চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইজিবাইক চোর চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ইজিবাইক চোর চক্রের মূলহোতা মো. মাসুদুর রহমান শামীম (৩৫) ও তার প্রধান সহযোগী রাজীব হোসেন (৩৪), আব্দুল মান্নান (৪০), ইকবাল হোসেন (৪০), আব্দুল হান্নান (৪৫)।



মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ ও চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম. জে. সোহেল জানান, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান এলাকায় শুক্কুর (২৮) নামের একজন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে যাত্রীবেশে তার ইজিবাইকে উঠে নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর ইজিবাইকচালক শুক্কুরকে ছুরি ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকা থেকে শামীম ও রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, শামীম বাকিদের নিয়ে একটি ইজিবাইক চোরচক্র গড়ে তোলে। রাজীব কখনও নিজেকে বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকার সাংবাদিক আবার কখনও নিজেকে পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। শামীম ও রাজীব দুইজন মিলে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাদের টার্গেট ও স্থান নির্ধারণ করতেন। পরে তাদের নির্ধারিত টার্গেটের ইজিবাইক ভাড়া করে পরিকল্পিত ও সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে, কখনও চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে, আবার কখনও সাংবাদিক ও পুলিশের পরিচয় দিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে পালিয়ে যেতেন। পরবর্তীতে শামীম ও রাজীব বিভিন্ন ইজিবাইক হান্নানের কাছে ২০-৩০ হাজার টাকার বিক্রি করতেন। হান্নান ইজিবাইকগুলোর রং ও কাঠামো পরিবর্তন করে সেগুলো ৪০-৫০ হাজার টাকার বিক্রি করতেন। হান্নান মূলত ইকবালের মাধ্যমে ইজিবাইকগুলো বিক্রি করতেন। ইকবাল বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা ইজিবাইক বিক্রির সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। মান্নান ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকের ক্রেতা।  তিনি ইজিবাইক কিনে অধিক দামে আবারও অন্যত্র বিক্রি করতেন।

শামীমের নেতৃত্বে প্রায় দুই বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজিবাইক চুরি করে আসছিল চক্রটি। তারা প্রতি মাসে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০-১৫টি ইজিবাইক চুরি করতেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তি আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি সোহেল।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।