গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় পরকীয়ার জেরে সংসার ভাঙার পর বিয়ের দাবিতে প্রেমিক যুবকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে জেমি বেগম নামে এক নারী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পুটিমারী গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করতে দেখা যায় জেমিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের বাঁশহাটা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে জেমির সঙ্গে কচুয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজের বেপারীর বিয়ে হয়। পরে সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাসেলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেমির। এরই জেরে বিভিন্ন সময়ে জেমির স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল জেমির ঘরে প্রবেশ করে এবং বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন।
সম্প্রতি রাসেলকে জেমির শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলেন ও পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের মাধ্যমে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে নিজের কাছে রেখে জেমিকে তালাক দেন।
পরবর্তী সময়ে রাসেল জামিনে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে এলে জেমির লোকজন তাকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রাসেল বিয়ে না করতে তালবাহানা করতে থাকেন। অবশেষে বিয়ের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল থেকে রাসেলের বাড়ির উঠানে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন জেমি। অবস্থা বেগতিক দেখে রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন।
ভুক্তভোগী জেমি বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল রাসেল। তার কারণে আমার ঘর ভেঙেছে। সে কারণে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি।
জেমির বাবা আব্দুল গফুর বলেন, লম্পট রাসেল আমার মেয়ের সুখের সংসার তছনছ হয়েছে। আমি ওর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রাসেল ও তার পরিবারের কেউই নেই। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে জেমিকে রাসেলের চাচার বাসায় রেখে এসেছি। দাবি আদায়ে শুক্রবার সকালে আবারও রাসেলের দরজার সামনে এসে বসেছেন জেমি। বিষয়টি সমাধানে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
এসআরএস