মাগুরা: মাগুরা শহরের হাজী আব্দুল হামিদ সড়কের লাইফ কেয়ার নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে শায়লা রহমান সেতু (২১) নামের এক ছাত্রীর (প্রসূতি) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত শায়লা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ও মাগুরা শহরের তাঁতিপাড়া এলাকার অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ফিরোজের মেয়ে।
নিহতের বাবা মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, তার প্রসূতি মেয়ে শায়লাকে তিনি বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে ডাক্তার জাফরিন আক্তারের সিজারিয়ানে শায়লা রহমানের একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু সন্তান জন্মের পর থেকেই শায়লার শরীরের নানা জটিলতা দেখা দেয়। পাশাপাশি চিৎকার করে ঘন ঘন জ্ঞান হারাতে থাকেন। একপর্যায়ে ডাক্তার জাফরিন তার স্বামী মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. শফিউর রহমানকে জানালে তিনি রোগীকে সদর হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) কয়েক বার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের সময় থেকে পরবর্তী সময়ে শায়লার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে নয় ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। একপর্যায়ে শরীরের অক্সিজেন সংকট দেখা দিলে ডাক্তার শফিউর রহমান তাকে দ্রুত ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী শায়লাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ভুল অস্ত্রোপচারের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মেয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের বাবা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
তিনি এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শফিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বর্তমানে গাড়ির মধ্যে রয়েছেন জানিয়ে সন্ধ্যার পরে যোগাযোগ করতে বলেন।
মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন শামীম কবির এ বিষয়ে বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত বুধবার (৩ এপ্রিল) শহরের আল সাবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনস্টিক কমপ্লেক্সে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বিষয়টি ভুক্তভোগী পক্ষের সাথে দেড় লাখ টাকায় আপস মীমাংসা করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৪
এএটি