পটুয়াখালী: জেলার বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
রোববার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট এ ঝড় স্থায়ী হয়। এতে বাউফলের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে।
এদিকে তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরঅডেল এলাকার মন্নান ফরাজি ছেলে ইব্রাহিম ফরাজি (৪৩) ও মনু রাঢ়ীর ছেলে ইসমাইল রাঢ়ী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোণিত কুমার গাইন হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা কাজ করছি। নিখোঁজদের উদ্ধার ও অনুসন্ধানে কাজ চলছে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, ঝড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের দাফন কাফনের জন্য সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৪
এসএম