বগুড়া: বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় স্কুলছাত্র নাসিরুল ইসলাম নাসির (১৫) হত্যা মামলায় তিন আসামিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা।
এর আগে সোমবার নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কাশীমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বগুড়া গাবতলী উপজেলার ইশ্বরপুর এলাকার মো. আব্দুস ছামাদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), ইলেজা বেগম (৪৫)এবং মো. রিফাত (১৮)।
নিহত নাসিরুল ইসলাম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। সে ফুলবাড়ি গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এশার নামাজের পর মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় নাসির। এরপর নাসিম আর বাড়ি ফেরেনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় বাবা ওয়াজেল মণ্ডল পরদিন সারিয়াকান্দি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে মোবাইল ফোনে দুর্বৃত্তরা তার বাবাকে জানায়, নাসিমকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণে ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ছেলেকে ফেরত পেতে ওয়াজেল মণ্ডল বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে ওই টাকা নিতে এলে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ বিকাশের দোকান থেকে নাসিমকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গাবতলীর নেপালতলী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এনামুল হককে আটক করে। তিনি সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম শ্রেণির ছাত্র ও নাসিরের ফুফাতো ভাই।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল তার মামাতো ভাই নাসিমকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তিতে নিখোঁজের আট দিন পর একিটি তালাবদ্ধ বাড়ির গোয়াল ঘরে মাটি খুঁড়ে নাসিমের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে বাকী আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কাশীমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামিসহ তিনজনকে আটক করে।
র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সোহেল রানা (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) জানান, আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সারিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৪
কেইউএ/এসএম