ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সালথায় হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
সালথায় হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটতরাজের পর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।  

রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের কয়েকশো মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী জুগিডাঙ্গা ও কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে এ হামলা চালায়।

এ সময় পুরো গ্রাম এক আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়। হামলাকারীদের কাছ থেকে সম্পদ রক্ষা করতে যেয়ে চারজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরের দিনে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের কয়েক যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামের যুবকদের। এরপর ওই রাতেই এক দফা হামলা করে জুগিডাঙ্গা গ্রামের ৩ জনকে আহত করা হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর রেশ ধরে রোববার বিকেলে দ্বিতীয় দফায় আবারো হামলা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু, বকুল মেম্বার, কামাল ও নুরুর নেত্বৃতে কয়েক’শ লোক ঢাল সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুগীডাঙ্গা ও কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে হামলা করে। এ সময় পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আরও তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারটি গরু ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন বাড়ি থেকে মূল্যবান মালামাল লূট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় সম্পদ রক্ষা করতে যেয়ে চারজন আহত হন।  

গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিব মোল্যা বলেন, ক্যারাম খেলা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি মঙ্গলবার দিন বসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর সালিশ বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। তারপরও ওরা আজকে আবার এ হামলা করলো।

এ বিষয়ে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, হামলার ঘটনা ঘটছে সত্যি। কিন্তু এর সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত না। তিনি দাবি করেন দুই পক্ষই তার সমর্থক।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে যাতে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্কাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।