ঢাকা: ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে জনসচেতনতা কার্যক্রম চালাতে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ৫৪ জন সাধারণ এবং ১৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাসব্যাপী এ প্রচারাভিযান পরিচালনা করবেন।
বুধবার বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসব্যাপী প্রচারাভিযান পরিচালনা বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন তাদের সেবা করার জন্য। মশার যন্ত্রণায় যদি তারা অতিষ্ঠ থাকেন, তার কী জবাব দেব আমরা! তাই সব কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে একযোগে কাজ করে মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
এ কাজে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই যদি সচেতন থাকি, এডিস মশা বংশবিস্তার করতে পারবে না। নিজের নিরাপত্তার জন্যই অন্যকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে সম্পৃক্ত করে প্রতি মাসে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা ও র্যালির আয়োজন করবে।
এ জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মেয়র বলেন, আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রবাদি জনগণের কাছ থেকে নগদ মূল্যে কেনা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন।
সভায় প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নির্ধারিত দামে ময়লা কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
এমএমআই/আরএইচ