ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তীব্র গরমে আখের রস বিক্রির হিড়িক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
তীব্র গরমে আখের রস বিক্রির হিড়িক

মাদারীপুর: তীব্র গরমে আখের রসের দোকানে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের। সন্ধ্যার পর শহর-গ্রামের ভ্রাম্যমাণ আখের রসের দোকানে বিক্রির হিড়িক দেখা গেছে।

মেশিনে আখ পিষে রস বের করে গ্লাস ভরে দিচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। পরম তৃপ্তি নিয়ে শেষ করছে রস। কেউ নিচ্ছে আরও এক গ্লাস। রসের জন্য দোকানের চারপাশে অপেক্ষা করছে আরও অনেকে।  

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সূর্য্যনগর বাজারে এই চিত্র দেখা গেছে।  

বিক্রেতারা জানান, তাপমাত্রা বেশি থাকায় আখের রস বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রস বিক্রি চলে। কেউ কেউ বোতলে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়। সারাদিন রোদ থাকায় বাজারে লোকজন কম আসে। সন্ধ্যার পর যারা বাজারে আসেন, বেশির ভাগই আখের রস খেয়ে থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকাসহ গ্রামের বাজারে, মহাসড়কের পাশে বা জনসমাগম হয় এমন সব স্থানে ভ্রাম্যমাণ রস বিক্রেতারা প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৯/১০টা পর্যন্ত আখের রস বিক্রি করেন। গরমের কারণে রসের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ! যে পরিমাণ আখ নিয়ে আসেন, সব বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি গ্লাস আখের রস ২০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

আখের রস বিক্রেতারা সজল নামের এক তরুণ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি বেড়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকায় আখের রসের চাহিদা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা এক থেকে দেড়শ গ্লাস রস বিক্রি হচ্ছে। শ্রমজীবীরা বিশেষ করে ভ্যান চালকেরা গরমে রস বেশি খেয়ে থাকেন। এছাড়া অনেকে আবার বোতল করে রস বাড়ি নিয়ে যান।

মো. ইয়াসিন নামের এক যুবক বলেন, প্রচুর গরম পড়েছে। বাজারে আসার পর আখের রস খেতে ইচ্ছা করলো। দোকানে প্রচুর ভিড়। সিরিয়ালে থাকতে হয় আখের রসের জন্য!।

তীব্র গরমে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে এলে বাজার-ঘাটে লোক সমাগম বাড়ে। এ সময় পানির চাহিদা পূরণে আখের রস পান করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। বরফকুচি দিয়ে ঠান্ডা আখের রসে প্রশান্তি খুঁজেন গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা সাধারণ মানুষ!।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।