ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রো স্টেশনের গেটে অবৈধ দোকান, যাত্রীভোগান্তি 

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
মেট্রো স্টেশনের গেটে অবৈধ দোকান, যাত্রীভোগান্তি 

ঢাকা: মেট্রোরেল ঢাকার জনজীবনে স্বস্তি ফেরালেও মাঝেমধ্যেই উঠে আসছে ব্যবস্থাপনার ত্রুটি। মেট্রোরেল বিকল হয়ে যাত্রী চলাচলে বিলম্ব, টিকিট বিক্রির ভেন্ডিং মেশিনও মাঝেমধ্যেই হচ্ছে বিকল।

এবার মেট্রো স্টেশনগুলোর সামনের ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। যে কারণে সিঁড়ি দিয়ে যাত্রী চলাচলে হচ্ছে ভোগান্তি।  

সোমবার (২২ এপ্রিল) মেট্রোরেলের শাহবাগ, সচিবালয়, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।  

দেখা যায়, শাহবাগ স্টেশনের রাস্তার দুই পাশের সিঁড়ির মুখের ফুটপাতে সব মিলিয়ে ২০টির বেশি ভ্রাম্যমাণ দোকান দেখা গেছে। ফলে যাত্রীদের মেট্রোরেলে উঠতে ও নামতে ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।  

পাশেই শাহবাগ মোড়ের পুলিশ বক্সে একাধিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও অবৈধ দোকানের দিকে কারও নজর নেই।

একই চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার ও মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশনেও। এসব স্টেশনের ওঠা-নামার সিঁড়িগুলোতে দেখা গেছে, প্রতিটি সিঁড়ির মুখেই পাঁচ থেকে সাতটি দোকান রয়েছে। ভোগান্তির বিষয়ে মেট্রোরেলের নিয়মিত যাতায়াতকারী শেখ তৌফিক বলেন, শাহবাগের মেট্রোরেলের সিঁড়িগুলোতে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকায় ট্রেনে উঠতে-নামতে অসুবিধা হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া।  

মিরপুরের বাসিন্দা আশিক কুণ্ডু বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন থেকে নেমে হাঁটার পথে ফুটপাতের একদিকে জঞ্জাল, অন্যদিকে দোকানপাট বেশি থাকায় যাত্রীদের চলাফেরায় অনেক সমস্যা হয়। এদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।  

এ বিষয়ে মেট্রো স্টেশন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এমআরটি পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকটের কারণে তারা মেট্রোরেলের বাইরের এলাকায় নিরাপত্তায় নজর দিতে পারছে না।  

সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০টি মেট্রোস্টেশনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৫০৮ জন সদস্য। এ কারণে প্রতিটি স্টেশনে ১০ জনের বেশি এমআরটি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে এমআরটি পুলিশের পরিদর্শক সোহেল চৌধুরী বলেন, আমাদের পুলিশের জনবল কম। আমরা মূলত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখছি। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যদি কোনো অভিযান পরিচালনা করে, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে অভিযানে থাকব।  

এমআরটি পুলিশের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা এএসপি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, জনবল সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বাইরে গ্রাউন্ড কাজ করতে পারছি না। তারপরও ডিএমটিসিএল ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিএমপি অভিযান চালালে আমরা সহযোগিতা করছি।

সম্প্রতি স্টেশনের প্রবেশমুখে অবৈধ দোকানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এ কর্মকর্তা৷ এজন্য অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।

এমআরটি পুলিশের এসপি শফিকুল ইসলাম বলছেন, ডিএমটিসিএল, ডিএমপি ও এমআরটি পুলিশ সবারই দায়িত্ব রয়েছে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের।  

মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে জানতে কল দেওয়া হয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেনকে। কিন্তু তিনি প্রশ্ন শুনেই কোনো উত্তর না দিয়ে ফোনকলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
এনবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।