ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিবগঞ্জ হাসপাতালে খাবার পানির সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
শিবগঞ্জ হাসপাতালে খাবার পানির সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবার পানির তীব্র সংকট গত সাত দিন থেকে। এতে চরম জনদুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অবহেলায় হাসপাতালের ভেতরে অবস্থিত ৮-১০টি টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। আর চালু থাকা কয়েকটি টিউবওয়েলে পানি উঠছে না।  

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের ফিল্টারটিও নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়া মহিলা ওয়ার্ডে ফিল্টারে পানি থাকলেও ময়লাযুক্ত পানি বের হওয়ায় রোগী ও তার স্বজনরা পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। আর তীব্র গরমের কারণে ফিল্টার থেকে বের হওয়া পানিতে হাত দিতেই মনে হচ্ছে পানি ফুটানো।  

মহিলা ওয়ার্ডে এক মহিলা রোগীর স্বজন আনোয়ারা বেগম কোথাও পানি না পেয়ে হাসপাতালের ভিড় ঠেলে রাস্তার যানজটের মধ্যেও দূর থেকে পানি এনে স্বজনকে খাওয়ালেন। তিনি বলেন, গরীব মানুষ কী করে পানি কিনবো? তাই রাস্তা পার হয়ে ক্লিনিকের পাশে থাকা একটি টিউবওয়েল থেকে পানি এনে পান করছি।  

রোগী মিজানুর রহমান, আজিজুল ইসলামসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে তীব্র গরমে পানির সংকট হলেও দেখার কি কেউ নাই? এ অবস্থা শুধু এসব রোগীদের নয়, পুরো হাসপাতাল জুড়েই। গত সাতদিন ধরে এ অবস্থা। এরপরও কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে টিউবওয়েলগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বিষয়টি টিএইচওকে জানানোর পরও তিনি ব্যবস্থা নেননি।

শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর একরামুল হক বলেন, শিবগঞ্জ হাসপাতালে তীব্র গরমে ব্যাপক পানি সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েলগুলো নষ্ট ও ফিল্টারগুলো অকেজো হয়ে আছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা দূর থেকে পানি আনায় ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করে দ্রুত পানির ব্যবস্থার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান পানি সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কিছু টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে এবং প্রচণ্ড খরায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে পানি সরবরাহের জন্য পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ফিল্ডারের ব্যবস্থা রয়েছে। ফিল্টার নষ্ট বা ত্রুটিযুক্ত নয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, রোগী ও তার স্বজনরা ফিল্ডার থেকে পানি ব্যবহার করছেন। আর নষ্ট টিউবওয়েলগুলোর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। শিগগির সমস্যার সমাধান হবে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. উজ্জ্বল হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি এ মাত্র জানলেন। তীব্র তাপদাহে খাবার পানির সংকটে ভোগান্তি বাড়বে এটায় স্বাভাবিক। দ্রুত বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।