ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে নব্বইটি করে ভিটামিন বি-১ এবং উইন্ডেল প্লাস ইনজেকশনের তিনটি প্যাকেটসহ আবুল কালাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ওষুধগুলো সরকারি লোগোযুক্ত।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আবুল কালামকে আটক করে হাসপাতালের লোকজন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হয়ে বের হতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় হাসপাতালের লোকজন চ্যালেঞ্জ করে তার হাতে থাকা কালো রঙের একটি ব্যাগ তল্লাশি করে। এ সময় ব্যাগটি থেকে সরকার এসব ওষুধ পাওয়া যায়। আবুল কালাম একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বলে জানা গেছে। জব্দ ওষুধ গুলোর মূল্য ৭০০ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটকের পর আবুল কালাম জানান, তিনি মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কয়েকদিন আগে তার চাকরি চলে যায়। ওষুধ কোম্পানি চাকরির সুবাদে ঢাকা মেডিকেলে তার আসা-যাওয়া হতো। এতে করে ঢামেকের জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে আরিফ নামে এক নার্স ইনচার্জের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
তিনি আরও জানান, আরিফ ও তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। যে কারণে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আরিফের কাছ থেকেই ওষুধ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন কালাম। তখনই তিনি ধরা পড়েন। ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি ও উইন্ডেল প্লাস ইনজেকশনের তিনটি প্যাকেট নিজের এক আত্মীয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন বলেও দাবি করেন আবুল কালাম।
নার্স ইনচার্জ আরিফের নামে অভিযোগ ওঠায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলানিউজ। আরিফ জানান, তিনি আবুল কালাম নামে কাউকে চেনেন না।
ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, যার কাছ থেকে সরকারি ওষুধ পাওয়া গেছে, তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে বের করবে আবুল কালাম ওষুধগুলো কার কাছে থেকে পেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এজেডএস/এমজে