ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গরু চুরি: খলিলের মাংসের দোকান বন্ধ করলেন মেম্বার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
গরু চুরি: খলিলের মাংসের দোকান বন্ধ করলেন  মেম্বার

বরিশাল: একাধিক গরু চুরি হওয়ার অভিযোগে বরিশালে খলিলের মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘খলিল মিট হাউজ’ নামে দোকানটি সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালুকদার হাট বাজার এলাকায় অবস্থিত।

দোকানের স্বত্বাধিকারী খলিল নিজেই এ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, দুই বছর আগে চাঁদপুরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) কে এম মাজাহারুল ইসলামের (কালাম খান) একটি গরু চুরি হয়। এ অভিযোগে গত প্রায় দুই মাস ধরে আমার মাংসের দোকানে তালা দিয়েছেন মেম্বার কালাম খান। আর তার অনুমতি ছাড়া দোকান খুলতেও নিষেধ করেছেন।

ছোট একটা মুরগির খামার থাকায় সেটি নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোভাবে দিন কাটাচ্ছেন খলিল। তিনি বলেন, গরু চুরির সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। আমি পাইকারি গরুর মাংস কিনে এনে বিক্রি করি। আর শুক্রবারসহ বিশেষ দিনে দোকানে গরু জবাই করি। তাও বিভিন্ন পাইকারের কাছ থেকে কিনে এনে। কিন্তু কামাল মেম্বার আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন।   তিনি চুরি হওয়া গরুর দাম আমাকে দিতে বলেছেন। কিন্তু দেড় লাখ টাকা আমি কোথায় পাবো। তাই দোকান বন্ধ; আমার কিছু করারও নেই। দোকানদারি বন্ধ আছে।

জমি-জমাসহ স্বজনদের সাথে বিরোধের জের ধরে আমার নামে মামলা হয়েছিল।   এ কারণে কয়েকদিন জেল খেটেছিলাম। মেম্বার এ বিষয়টিও পুঁজি করছেন।

এ বিষয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) কে এম মাজাহারুল ইসলাম (কালাম খান) বাংলানিউজকে বলেন, গরু চুরির সাথে খলিল আগে থেকেই জড়িত। তাকে এলাকার সবাই চেনে। মানুষ আমাকে অভিযোগ দিয়েছে তাই দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে কোনো চোরকে তো আর প্রশ্রয় দেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, খলিল শুধু আমার পালিত গরুই চুরি করেনি, ও আমার বাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকেও গরু চুরি করেছে। যেখানে ও থাকতো। গণকের কাছে গিয়েও খলিল যে গরু চুরি করেছে সেগুলো জেনেছে মানুষ। যদিও আমি তা বিশ্বাস করি না। তবে গ্রামবাসীর কথা মিথ্যা হতে পারে না। আর ও চুরি করা গরুসহ ধরাও পড়েছিল। আমার গরু চুরির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তবে অন্য চুরির ঘটনার পর ও জেল খেটেছে বেশ কিছুদিন। যারপর থেকে এলাকায় গরু চুরি হচ্ছে না।

চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন (খোকন) এ ব্যাপারে বলেন, কালাম মেম্বারকে আমিও জিজ্ঞেস করেছি, দুই বছর আগে গরু চুরির ঘটনায় দুই মাস আগে কেন তার দোকানে তালা মারা হলো? তিনি বলেছেন, তার গরু খলিলই চুরি করেছে। তাই দোকানে তালা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এখন খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
এমএস/এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।