ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলাম ধরা পড়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো. ওয়ালিউল্লাহ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান এলাকা থেকে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন শিক্ষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি হলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনৈতিক মেলামেশার সত্যতা পায়। এ সময় প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই ছাত্রী।
স্বীকারোক্তিতে ওই ছাত্রী জানান, ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় তার। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের শিক্ষকও ড. মো. শফিকুল ইসলাম। পরে মেসেঞ্জারে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই শিক্ষকের নিজের গাড়িতে গাজীপুরের রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন বলেও জানান ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ওই ছাত্রী ঘটনার ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
আরএ