ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি

মানিকগঞ্জ: শিবালয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গোলাগুলি ও সড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ডাক্তার বাড়ি এলাকায়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।  

জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউর রহমান খান জানুর কর্মীরা আরিচা ডাক্তার বাড়ি এলাকায় পোস্টার লাগাতে যান। এ সময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিম খানের কর্মীরা তাদের মারধর করে। এতে জনি ও সিয়াম নামে রেজাউরের দুই কর্মী আহত হন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেজাউরের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি ও তার লোকজন। রনি প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি আরিচা ডাক্তারবাড়ি রহিম খানে ক্যাম্পে যান। পরে নিজের চাচাতো ভাই আরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনতাকিম রহমান অনিকসহ তার লোকজন নিয়ে রহিম খানের ক্যাম্পে হামলা চালান।

এ ঘটনার পর রহিম খানের সমর্থক জয় ঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি বলেন, হঠাৎ করে শুনি আমাদের দুই কর্মী পোস্টার লাগানোর জন্য গিয়েছিল। রহিম খানের লোকজন তাদেরকে মারধর করে। এ খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় রহিম খানে ভাগ্নে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে শিবালয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ও জয় ঘোষকে নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করেন তারা। তাই আত্মরক্ষায় এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালাই।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খান ও তার লোকজন বিকেল ৫টার দিকে আরিচা ডাক্তার বাড়ি এলাকায় মহসড়ক অবরোধ করেন। এর পর ঘটনাস্থলে স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ও পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান আসেন। রাতে সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ সুপারে অনুরোধে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।