ময়মনসিংহ: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ময়মনসিংহে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে দিনভর। এতে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা ১২ মিনিট থেকে বাতাসের সঙ্গে শুরু হওয়ায় এই বৃষ্টি এখনও চলছে। তবে এই ঝড়-বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে চলমান বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ মানুষ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে অনেকেই কাকভেজা শরীরে নিজ নিজ কাজে ছুটতে দেখা গেছে। এ সময় শ্রমজীবীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।
ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টা ১২ মিনিট থেকে ময়মনসিংহে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ঝোড়ো বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৬ নটিকেল।
আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. মনির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ময়মনসিংহে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। চলমান এই ঝোড়ো বৃষ্টি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামীকালও (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতও হতে পারে। তবে সোমবার রাতে তাপামাত্র দিনের চেয়ে দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
জেলার গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারি ইউনিয়নের খুলিয়ার চর গ্রামের কৃষক মো. শফিউল আলম রতন বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের ধান মাড়াই কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে এই ঝোড়ো বৃষ্টি চলমান থাকলে কৃষকদের সবজি ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে দিনভর ঝড়-বৃষ্টির কারণে নগরীতে রিকশা ও অটোরিকশার কম দেখা গেছে। এর ফলে যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এ নিয়ে যাত্রী ও যান চালকদের মধ্যে বিবাদের ঘটনা ঘটতেও দেখা দেখে।
এ বিষয়ে নগরীর চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মুকুল শাহরিয়ার বলেন, বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি থাকার কারণে সড়কে যানবাহন কম। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন যান চালকেরা।
তবে এই অভিযোগ স্বীকার করে অটোচালক মো. আলী হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। একটু বেশি আয় না হলে কষ্ট করে লাভ কি। তবে যাত্রীদের বলেই আমি দুই চার টাকা করে বেশি নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এসএম