সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) দুজনের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) রাত ৩টার দিকে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের বানিয়াবাহু গ্রামের এসআই হুমায়ুন রশিদের বাড়িতে ও একই ইউনিয়নের শাকই গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এ ডাকাতি হয়।
এসআই হুমায়ুন রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজার ছেলে। ডাকাতদের মারপিটে হুমায়ুনের বড় ভাই সাবেক ইউপি সচিব আব্দুল হাই চৌধুরী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত আব্দুল হাই চৌধুরীর স্ত্রী মাজেদা খাতুন বলেন, সেলিম রেজা ও তার ছেলে হুমায়ুন রশিদ চাকরির সুবাদে বাইরে অবস্থান করায় গ্রামের বাড়িতে আমি ও আমার স্বামী থাকি। শনিবার রাত ৩টার দিকে বাড়ির উত্তর দিকের টয়লেটের পাশের টিনের বেড়া ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢোকে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল। এরপর ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে আমাকে ও আমার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে তারা। ডাকাতরা আমার স্বামীকে বেদম পিটিয়েছে। একপর্যায়ে বাড়ির আলমারি ও লেপকাথা রাখার বাক্স ভেঙে এবং নগদ তিন লাখ নগদ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণের দুল নিয়ে ডাকাতরা চলে যায়।
অপরদিকে শাকই গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঘরের ঢোকে ডাকাতদল। এরপর গ্যাস স্প্রে করে তাদের অজ্ঞান করার পর নগদ ৮০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা। সকালে প্রতিবেশীরা শফিকুলের স্ত্রী ময়না (৪২), ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৪) ও মাসুদ রানাকে (১৮) অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ফ্রিজ মেরামত করতে আসে ইলেকট্রিশিয়ান। তিনি ফ্রিজের কোনো খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে রেখে যান। রাতে ফ্রিজ যে রুমে রাখা হয়, সেই রুমের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে লুটতরাজ চালায় ডাকাতরা। শফিকুলের বাড়িতেও একই ধরনের চেতনানাশক স্প্রে করা হয়। ওই পরিবারের সবাই এখনও ঘুমিয়ে রয়েছেন। তারা ঘুম থেকে উঠলে বিষয়টি জানা যাবে। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পুলিশ সুপার স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এসআই